জীবে প্রেম করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর’ স্বামী বিবেকানন্দের এই বাণী নানা সময়ে নানান মানুষের মধ্যে প্রতিফলিত হতে দেখেছি আমরা। তবে বিশাল এ পৃথিবীতে এই মানুষগুলোর সংখ্যা একেবারেই যৎসামান্য।
তারপরও এই মানুষগুলি আছে বলেই আহাজারি পৃথিবীটা এখনও বাঁচার স্বপ্ন দেখে। হৃদয়হীনা দরিয়ায় ভালোবাসার মেলবন্ধন তৈরি করা এক মানব সেবকের গল্প বলব আজ ।
তিনি হলেন – ড. সাজ্জাদ হায়দার , তরুণ যুবনেতা ও পররাষ্ট্রনীতি গবেষক , মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কাউন্সিলের প্রধান উপদেষ্টা ও যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক,বসুন্ধরা গ্রুপের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং বাংলাদেশ পররাষ্ট্রনীতি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ভাইস চেয়ারম্যান।
‘মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য’ এই দায়িত্ববোধ থেকেই করোনার সংকটময় মুহূর্তে তিনি ক্লান্তিহীনভাবে সকাল-সন্ধ্যা ছুঁটে বেড়াচ্ছেন ক্ষুধার্ত মানুষের খোঁজে। দাঁড়াচ্ছেন পাশে, দিচ্ছে নানা সহায়তা, জোগাচ্ছেন সাহস আর প্রেরণা। দেশে মহামারি করোনা সনাক্ত হওয়ার পরপরই জনসচেতনতায় তৎপর হন এই জন সেবক।
শুধুই কি রাজনীতিবিদ হিসেবেই তার এই দায়িত্ববোধ? না, তার সুবিশাল কর্মজ্ঞ সে কথা বলে না। তিনি একজন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন ইচ্ছাশক্তি মানুষকে কোথায় পৌঁছে দিতে পারে। করোনার মধ্যে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষের সঙ্গে তৈরি করেছেন ভালোবাসার এক মেলবন্ধন।
শুধু তাই নয় তিনি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় করোনা হাসপাতালের নির্মাণকল্পের পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন । যা বাংলাদেশে এই করোনার মুহূর্তে বিরল ।
তিনি নিজের জীবনের মায়া ত্যাগ করে শুধু দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে এই মহতি উদ্যোগে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন ।
সম্প্রতিকালে ত্রাণ বিতরণে অনেক জনপ্রতিনিধি যেখানে অনিয়মে জড়িয়ে পড়েছেন সেখানে তিনি অন্যান্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। দেখিয়ে দিয়েছেন- তিনি শাসন নয়, জনগণের সেবক হতে হয় কি করে।
রোদ বৃষ্টি উপেক্ষা করে নিজ উপজেলায় এবং ঢাকায় অসহায় দুস্থ মানুষের দ্বারে দ্বারে তার ছুঁটেচলা দিনে দিনে যেন এক স্বপ্নময় সমাজ বুনন করে চলেছে।
ড. সাজ্জাদ হায়দার করোনার এই সংকটকালীন মুহূর্তে খাদ্যসহায়তা ছাড়াও তিনি অসুস্থ মানুষগুলোর জন্য বাড়িয়েছেন সাহায্যের হাত। ইতোমধ্যে অনেককে নগদ অর্থসহায়তাও প্রদান করেছেন। এই দুঃসময়ে সর্বদা তাদের পাশে থাকার প্রত্যয়ও ব্যক্ত করেছেন তিনি।
করোনায় মানুষকে সচেতন করার লক্ষ্যে তিনি নিজেই বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছেন। কখনো কখনো হ্যান্ড মাইক নিয়ে দাঁড়িয়ে যাচ্ছেন বাজার ঘাট ও রাস্তার মোড়ে মোড়ে, চালাচ্ছেন সচেতনতামূলক প্রচারণা। একদিনও থেমে থাকেনি তার এই কর্মযজ্ঞের ধারাবাহিকতা।
রমজানের প্রথম দিন থেকেই নিজের বাড়িতে দাওয়াত করে প্রতিদিন বেশ কিছু রোজাদারদের ইফতার করাচ্ছেন তিনি। পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় বিতরণ করছেন ইফতার সামগ্রী।
ড. সাজ্জাদ হায়দারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রাজনৈতিকভাবে ঐহিত্যবাহী পরিবারের সন্তান আপাদমস্তক এই রাজনীতিবিদের বাবা মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মতিন মোহন একটানা ২৫ বছর ইউপি চেয়ারম্যান এবং দুই বার উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন । বাবাই তার পথচলার বড় অনুপ্রেরণা। মানবতার কল্যাণ একটি মানবিক সমাজ বিনির্মানে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে যাচ্ছেন দীর্ঘদিন।
ড. সাজ্জাদ হায়দার শুধু রাজনীতিবিদ বা পররাষ্ট্রনীতি গবেষক নন, মানবসেবায় তিনি আজ দেশবাসীর কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় মুখ । তিনি ক্লান্তিহীন ভাবে কাজ করে মানুষের মাঝে আস্থা, ভরসা আর ভালোবাসার একটি জায়গা তৈরি করে নিয়েছেন। ড. সাজ্জাদ হায়দার শুধু দেশেই নয় প্রবাসেও একজন অত্যন্ত পরিচিত মুখ । স্বাধীন টিভি পরিবারের পক্ষ থেকে এই মহান করোনা যোদ্ধাকে আন্তরিক ধন্যবাদ ।