বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে মসজিদ নির্মাণ কাজে বাধা দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইনের অজুহাতে শুক্রবার লালমনিরহাটের কেরামতিয়া বড় মসজিদের দোতলা ভবন নির্মাণ কাজে বাধা দেয় তারা। ঘটনাটি হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা দোলাপাড়ায়।
২০১১ সালে বাংলাদেশ ও ভারতের উচ্চপর্যায়ে মসজিদের নকশা অনুমোদন হওয়ার পর একই বছরের ২৯ এপ্রিল দোতলা মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। কিন্তু শুক্রবার মসজিদ নির্মাণ কাজের শেষ পর্যায়ে জানালায় গ্লাস লাগানোর সময় ভারতের শিতলকুচি থানার অমিত ক্যাম্পের বিএসএফ টহল দল বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশে করে। এসময় তারা মসজিদ নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়। এতে বাংলাদেশিসহ মসজিদে নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিদের মাঝে ক্ষোভ দেখা দেয়।
জানা যায়, দোলাপাড়া সীমান্ত এলাকায় মোঘল আমলে কেরামতিয়া হুজুর নামে এক দরবেশ বসবাস করতেন। তার সহযোগিতায় সেখানে ওই সময়ে একটি ছোট মসজিদ নির্মিত হয়। তার মৃত্যুর পর ঐ মসজিদের পাশেই তাকে দাফন করা হয়। পরে টিনশেট করে একটি বড় আকারের মসজিদ নির্মাণ হয় সেখানে।
১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের সময় মসজিদ ও মাজারটি জিরোপয়েন্টে পড়ে যায়। কেরামতিয়া হুজুরের মাজার ও মোঘল আমলের মসজিদকে কেন্দ্র করে প্রতি শুক্রবার দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার মুসুল্লি নামাজ পড়তে আসেন। এর কারণে মসজিদটিতে দিন দিন জায়গা সংকুলান দেখা দেওয়ায় পুণনির্মাণের কাজ শুরু করে বর্তমান মসজিদ নির্মাণ কমিটি।
মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলিমুদ্দিন জানান, দুই দেশের মধ্যে নকশা অনুমোদন হওয়ার পর মসজিদ নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়েছে। কিন্তু প্রায় সময় বিএসএফ নানা অজুহাতে নির্মাণ কাজে বাধা দিয়ে আসছিল। জানালায় রঙ্গিন গ্লাস লাগাতে বাধা দিলে আমরা সাদা গ্লাস লাগাতে শুরু করি। কিন্তু শুক্রবার সেই গ্লাস লাগাতেও বাধা দেয় তারা।
৬১-বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবির বড়খাতা কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার ইব্রাহিম মোল্লা জানান, বিএসএফ মসজিদের নির্মাণ কাজে বাধা দিলেও নির্মাণ বন্ধ নেই। বর্তমানে টাইলস লাগানোর কাজ চলছে। এ সপ্তাহের মধ্যে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে গ্লাস লাগানোর সিদ্ধান্ত হবে।