সুখবর : চাকরি না হলেও পেনশন পাবেন সবাই

ডেস্ক রিপোর্টার, প্রকাশ: ২০১৯-০৬-১৫ ০০:২২:১৫

বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট ঘোষণা করছে আওয়ামী লীগ সরকার। এবার নিয়ে ২১তম বাজেট ঘোষণা করছে স্বাধীনতা নেতৃত্বদানকারী দলটি। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের এটা ১৭তম বাজেট।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) জাতীয় সংসদে চলতি অর্থবছরের বাজেট উত্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী। ‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ: সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের’ শীর্ষক এ বাজেটের আকার ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। এটি ক্ষমতাসীন সরকারের চলতি মেয়াদের প্রথম এবং দেশের ৪৮তম বাজেট।

সবার জন্য সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালুর সুখবর রয়েছে এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে। সরকারি চাকরিজীবীদের পাশাপাশি এখন দেশের সাধারণ মানুষদের জন্যও পেনশন চালুর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার। এর জন্য খুব শিগগিরই ‘ইউনিভার্সাল পেনশন অথরিটি’ নামে একটি কর্তৃপক্ষ গঠন করা হবে।

জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপনের সময় বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ পরিকল্পনার কথা জানান। দেশের সব মানুষের জন্য পেনশন চালুর লক্ষ্যের কথা জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকারি পেনশন যারা পান, তারা দেশের মোট জনগোষ্ঠীর ভগ্নাংশ মাত্র। প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতসহ দেশের সব মানুষের জন্য সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা পর্যায়ক্রমে চালু করা হবে। এর জন্য একটি ইউনিভার্সেল পেনশন অথরিটি শিগগিরই গঠন করা হবে।

বাজেট বক্তৃতায় পেনশন দেওয়ার পদ্ধতি সহজ করার প্রসঙ্গ টেনে অর্থমন্ত্রী বলেন, মাসে মাসে ব্যাংক বা হিসাবরক্ষণ অফিসে হাজিরা ছাড়াই পেনশনাররা যেন তাদের ব্যাংক বা মোবাইল হিসাবে পেনশন পেতে পারেন, সেই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। এরই মধ্যে ২৭ হাজার পেনশনারের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ইএফটি’র মাধ্যমে অর্থ পাঠানো হচ্ছে। আগামী অর্থবছরের মধ্যেই সব পেনশনারকে এই কার্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনার কথা জানান তিনি। শুধু তাই নয়, পেনশন পেতে যেন কোনো ধরনের হয়রানি না হয়, সেজন্য ডিজিটাল পদ্ধতি ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার (ইএফটি) ব্যবস্থার মাধ্যমে পেনশন দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে বলেও জানান অর্থমন্ত্রী।

সরকারি কর্মচারীদের গ্রুপ বীমার আওতায় আনার কথা জানিয়ে মুস্তফা কামাল বলেন, সরকারি কর্মচারীদের জন্য গ্রুপ ইনস্যুরেন্স নামে একটি ব্যবস্থা থাকলেও এটি প্রকৃতপক্ষে কোনো বীমা নয়। সব কর্মচারীকে বীমার আওতায় আনার লক্ষ্যে প্রচলিত ব্যবস্থার সংস্কার করে জীবন বীমা করপোরেশনের সহযোগিতায় সমন্বিত একটি বীমা ব্যবস্থায় রূপান্তরিত করা হবে।