অবশেষে যে বিশাল সুখবর পাচ্ছেন নিবন্ধনধারীরা

ডেস্ক রিপোর্টার, প্রকাশ: ২০১৯-০৬-০৭ ২০:২৯:৪০

 

দেশের বেসরকারি স্কুল-কলেজে নতুন প্রায় এক লাখ শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে সরকার।

যা বিভিন্ন পর্যায়ে শিক্ষক নিবন্ধনধারীদের জন্য বড় সুখবর বলেই গণ্য হতে পারে। ২০১৮ সালের জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এ অনুমোদন দেয়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো নির্ধারিত সময়ে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দিলে তাদের এমপিওভুক্তি সহজ হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জাবেদ আহমেদ একটি গণমাধ্যমকে বলেন, প্রায় এক লাখ পদে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দিতে পারবে। কোন বিষয়ের শিক্ষক বা কোন পদের জনবল কখন নিয়োগ দিতে হবে, তা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। মানসম্মত শিক্ষার প্রয়োজনেই সৃষ্ট এসব পদে লোক নিয়োগের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের নতুন জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী দেশের এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন তৈরি পদের অনুমোদন দেওয়া হয়। এসব পদের বিপরীতে নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিকে ৯১ হাজারের বেশি সহকারী শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আরও প্রায় ৩ হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে কলেজে। যেসব বিষয়ে পদ বেড়েছে সেসব বিষয়ের মধ্যে নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিকে রয়েছে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি, ভৌত বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা, ইংরেজি, বাংলা, চারু ও কারুকলার শিক্ষক। এছাড়া কম্পিউটার ল্যাব সহকারী, নৈশপ্রহরী ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীর পদে জনবল নিয়োগের অনুমোদন দেওয়া হয়।

কলেজ পর্যায়ে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিষয়ের প্রভাষক, প্রদর্শকের চতুর্থ পদ, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর, ল্যাব সহকারী দ্বিতীয় পদ থেকে ল্যাব সহকারী চতুর্থ পদে এবং অফিস সহকারী দ্বিতীয় পদে জনবল নিয়োগের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিষয়ের শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে এ বছরের মধ্যে। ভৌত বিজ্ঞানে ২০২০ সালের মধ্যে। ব্যবসায় শিক্ষা, ইংরেজি ও কম্পিউটার ল্যাব সহকারী পদে লোক নিয়োগ দিতে হবে ২০২০ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে। বাংলা বিষয়ের শিক্ষক ও নৈশপ্রহরী, পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োগ দিতে হবে ২০২১ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে। আর চারু ও কারুকলা বিষয়ের শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে ২০২২ সাল থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে।

কলেজ পর্যায়ে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিষয়ের শিক্ষক ও ল্যাব সহকারী নিয়োগ দিতে হবে ২০১৯ সালের মধ্যে। অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর, ল্যাব সহকারী দ্বিতীয় পদে লোক নিয়োগ দিতে হবে ২০১৯ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে। প্রভাষকের চতুর্থ পদে ২০২০ থেকে ২০২১ সাল, ল্যাব সহকারী তৃতীয় পদে ২০২১ থেকে ২০২২ সাল এবং ল্যাব সহকারী চতুর্থ পদে জনবল নিয়োগ করতে হবে ২০২২ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে।

নতুন তৈরি এসব পদে জরবল নিয়োগ করতে হবে ২০১৮ সালের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা মেনে।

জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব মো. কামরুল হাসান বলেন, ‘গত ৩০ মে এমপিও শাখা থেকে আদেশ জারি হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো নির্ধারিত সময়ে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দিলে তারা যথানিয়মে এমপিওভুক্ত হতে পারবে।’