প্রবল বেগে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে বঙ্গোপসাগরের কক্সবাজার উপকূল প্রচণ্ডভাবে উত্তাল হয়ে পড়েছে। জোয়ারের পানি ৪-৫ ফুট উচ্চতায় বৃদ্ধি পেয়ে উপকূলে আছড়ে পড়ছে। আজ ৯ নভেম্বর শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলার কুতুবদিয়া, মহেশখালী, পেকুয়া, চকরিয়া, টেকনাফ ও কক্সবাজার সদর উপজেলায় অন্তত ৫৮ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
এদিকে টানা তিন দিনের ছুটি থাকায় এই পর্যটন শহরে এবার ব্যাপক ভিড় থাকবে বলে ধারণা করা হয়েছিল। তবে বৈরী আবহাওয়ায় আজ দুপুর থেকেই সাগরে গোসল বন্ধ করে দেয় ট্যুরিস্ট পুলিশ। এরপর থেকে সৈকত ফাঁকা হয়ে যেতে থাকে। এখন এই পর্যটন শহরে থাকা প্রায় ১০ হাজার মানুষ হোটেল কক্ষে একপ্রকার বন্দী হয়ে আছে।
তাছাড়া আজ সকাল থেকে হালকা বৃষ্টিপাত শুরু হয়। বিকেল চারটা থেকে শুরু হয় ভারী বর্ষণ। এ সময় দমকা হাওয়াও বইতে থাকে। জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে চার-পাঁচ ফুট উচ্চতায় বৃদ্ধি পেয়ে উপকূলে আছড়ে পড়ছে। জোয়ারের ধাক্কায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
এদিকে আজকের প্লাবনে পাঁচ শতাধিক ঘরবাড়ি পানিবন্দী রয়েছে। সন্ধ্যা পর্যন্ত কক্সবাজার উপকূলে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হচ্ছে।
এদিকে পাউবো ও উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, বুলবুলের প্রভাবে কুতুবদিয়া উপজেলার উত্তর ধুরুং, দক্ষিণ ধুরুং, আলী আকবর ডেইল, লেমশিখালী, কৈয়ারবিল ইউনিয়নের অন্তত ২৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। জোয়ারে পানিতে ডুবে গেছে তিন শতাধিক ঘরবাড়ি। এই উপজেলার ৪০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে সম্পূর্ণভাবে ভাঙা রয়েছে ১৩ কিলোমিটার।