বরিশালের বানারীপাড়ার প্রানকেন্দ্র বন্দর বাজার সংলগ্ন নির্বিঘ্নে চলাচলের একমাত্র মাধ্যম হলো ফেরি। বানাীপাড়া উপজেলায় সিংহভাগ মানুষের বসবাস সন্ধা নদীর ওপারে, যেখানে বানারীপাড়ার একটি পৌরসভা ও আটটি ইউনিয়নের মধ্যে পাঁচটিই অবস্থিত।
নদী অত্যাধিক বড় হওয়ায় নিরাপদে পাড় হওয়ার একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম হলো ফেরি, যেখানে প্রতিদিন প্রায় দশহাজার মানুষের যাতায়াত প্রায়শই ঘাটটির অবস্থা পুরাতন হওয়ায় ঘটত মারাত্বক দূর্ঘটনা।
ফেরি ঘাটটি পুরাতন হওয়ায় লোহায় জং ধরে নষ্ট হয়ে গিয়েছিল ঘাটের সর্বধরনের নিরাপদ ব্যবস্থা। মাঝে মাঝে ঘাটটি এজন্য নদীতেও তলিয়ে যেত। এছাড়াও বড় ধরনের আগুন লাগলে ও রোগীদের যাতায়াতে ফেরি পারাপারে হয়ে ওঠে মারাত্বক ঝামেলা।
বন্দর বাজারের ওপার পশ্চিমপাড় ক্ষ্যাত পাঁচটি ইউনিয়নের মানুষের দীর্ঘদিনের চাওয়া পাওয়ার অবসান ঘটালো সংরক্ষিত আসনের সাংসদ অ্যাডভোকেট সৈয়দা রুবিনা আক্তার মিরা।
বানারীপাড়ার ক্ষমতাসীন সিংহভাগ নেতাদের বাড়ি নদীর পশ্চিম পাড় হওয়ায় তারা কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় পশ্চিম পাড়ের মানুষের আবেদনে সাড়া দিয়ে গত ২২ শে সেপ্টেম্বর সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মোঃ নজরুল ইসলাম কাছে লিখিত আবেদন করেন।
আবেদনে দ্রুতগতিতে ফেরি ঘাট সংস্কার বা নতুন ফেরি প্রতিস্থাপনের ব্যবস্থা গ্রহন করার আবেদন করা হয় তারই পেক্ষিতে গত ৩০শে অক্টোবর নতুন ঘাট এসে পৌঁছায় বানারীপাড়ার বন্দর বাজারের ফেরি ঘাটে শুরু হয় সংস্কার প্রক্রিয়া তাই দেখে পশ্চিমপাড়ের সাধারণ মানুষ আবেগ আপ্লুত হয়ে বলেন আমাদের দীর্ঘদিনের দুরবস্থা দূর করলেন সাংসদ মিরা আপা এর পূর্বে আমাদের প্রসুতি মা বিভিন্ন ধরনের রোগী, লাশ ও ফায়ার সার্ভিসের আসতে প্রচুর ঝামেলা হতো এজন্য অনেক রোগীও মারা যেত এছাড়াও আগুন লাগলে সব পুড়ে ছাই হয়ে যেত আমাদের এই কষ্ট লাঘবে তার জন্য আমরা দীর্ঘায়ু কামনা করি। পরে খুশিতে তারা মিষ্টি বিতরণ করেন।