বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপনের কর্মকাণ্ডে ত্যক্ত-বিরক্ত সাবের হোসেন চৌধুরী। কয়েক দিন আগে ক্রিকেটারদের ধর্মঘটকে তার ব্যর্থতা বলে অ্যাখ্যায়িত করেন তিনি। সাকিব আল হাসান ইস্যুতে ফের মুখ খুললেন সাবেক বোর্ড প্রেসিডেন্ট। পাপনকে রীতিমতো ধুয়ে দিলেন সাবের হোসেন।
ম্যাচ ফিক্সিংয়ের নিয়ম না মানায় সব ধরনের ক্রিকেটে সাকিবকে এক বছর নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি। যদিও প্রথমে সেটি দুই বছর ছিল। দেশসেরা ক্রিকেটারের এ নিষেধাজ্ঞার জন্য নাজমুল হাসানের দিকে আঙুল তুলেছেন সাবের হোসেন চৌধুরী।
ক্রিকেটারদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সংবাদ ব্রিফিংয়ে বর্তমান বিসিবি বস বলেন, শিগগির ম্যাচ পাতানোর গোমর ফাঁস করা হবে। সাকিবের নিষেধাজ্ঞার নেপথ্যে একেই দায়ী করছেন সাবের। তার মতে, পাপন সব কিছু জানতেন। তবু আইসিসির কাছে দেনদরবার করেননি উনি।
এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া টুইটারে বেশ কয়েকটি টুইট করেছেন সাবের হোসেন। সাকিবদের ধর্মঘটের মাঝে পাপন বলেন, ম্যাচ ফিক্সিংয়ের খবর আসছে। তার সেই উক্তির ভিডিও একটি টুইটের সঙ্গে জুড়ে দেন সাবেক বোর্ড প্রেসিডেন্ট। এর ক্যাপশনে বিসিবির বর্তমান সভাপতিকে ‘মিথ্যাবাদী’ বলে অ্যাখ্যা দেন তিনি।
সাবের হোসেন লেখেন- আমার মনে হয়, বিসিবি সবকিছুই জানত। পাপন সাহেব বলেছেন- এ নিয়ে তার কোনো ধারণাই ছিল না। কথাটা সত্য নয়। দুঃখ লাগলেও এটি বলতেই হচ্ছে। ২২ অক্টোবরের ভিডিও ক্লিপ দেখে মনে হচ্ছে, আইসিসির ঘোষণার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন উনি।
আরেক টুইটে বিসিবির সাবেক সভাপতি লিখেছেন- ভণ্ডামি, সর্বোৎকৃষ্ট/নিকৃষ্টের দ্বৈত চরিত্র। আইসিসির সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়েছে বিসিবি। ক্রিকেট দুর্নীতির বিরুদ্ধে সমান আবেগই দেখিয়েছে। কিন্তু সংস্থাগত ম্যাচ ফিক্সিং দুর্নীতির মূলোৎপাটন না করে, ঘরোয়া ক্রিকেটে সেটিকে আরও উৎসাহিত করছে বোর্ড। লজ্জাজনক!
সাকিবের দুঃসময়ে পাশে দাঁড়াবে বিসিবি। বোর্ডের এমন আশ্বাস-বিশ্বাস করতে পারছেন না সাবের হোসেন। অপর টুইটে সাবের হোসেন লেখেন- কেউ অপরাধ করলে সুবিচার প্রাপ্য। বিসিবি অন্তত নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ কমানোর চেষ্টা করতে পারত। কিন্তু পরিতাপের বিষয়- এ ক্ষেত্রে সাকিবের পাশে দাঁড়ায়নি বোর্ড। অযথা মায়াকান্না দেখাচ্ছে।