পেঁয়াজ সিন্ডিকেটের সঙ্গে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিরা সরাসরি জড়িত বলে দাবি করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী।
পেঁয়াজ নিয়ে কারসাজির ঘটনায় অবিলম্বে ব্যর্থ মন্ত্রী ও সরকারের পদত্যাগও দাবি করেন তিনি।
শুক্রবার সকালে নয়াপল্টনে এক বিক্ষোভ মিছিল শেষে রিজভী এ দাবি করেন।
কারাবন্দি খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম দলের উদ্যোগে এ বিক্ষোভ মিছিল হয়।
নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে আবার দলটির কার্যালয়ের সামনে শেষ হয়।
রিজভী বলেন, পেঁয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকার পরও ক্ষমতাসীন দলের সিন্ডিকেটের কারণে পেঁয়াজের কেজি দেড় শতকের পর ডাবল সেঞ্চুরি পেরিয়েছে। গতকাল যোগ হয়েছে আরও ৪০ টাকা। ২৪০ টাকা ছাড়িয়েও থামেনি দাম। দাম আর কত বাড়বে এই নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারছেন না।
‘বরং সংসদে বাণিজ্যমন্ত্রীর পক্ষে শিল্পমন্ত্রী যেদিন বললেন বাজার নিয়ন্ত্রণে, তার পরদিনই এক লাফে ৩০ থেকে ৪০ টাকা বেড়ে যায় কেজিতে। মন্ত্রীর বক্তব্যের পর পেঁয়াজের দাম আরও বেড়েছে।’
তিনি বলেন, তাদের বক্তব্য সিন্ডিকেটকে উসকে দিচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী গতবছর থেকে এখন পর্যন্ত যে পরিমাণ পেঁয়াজ দেশে আছে, তা চাহিদার চেয়ে অনেক বেশি। তাহলে এভাবে লাগামহীনভাবে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে কেন? রাজধানীর খুচরা বাজারে, পাড়া-মহল্লার দোকানগুলোতে পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজি ২৪০ টাকা ছাড়িয়েছে।
বিএনপির এ নেতা বলেন, এই পরিস্থিতিতে দেশের জনগণ মনে করে পেঁয়াজ নিয়ে যে সিন্ডিকেট লুটতরাজ চলছে, তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোনো কোনো মন্ত্রী-এমপি সরাসরি জড়িত। এ কারণে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ না নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক কথাবার্তা বলছে। অবিলম্বে আমরা ব্যর্থ মন্ত্রীদের পাশাপাশি সরকারের পদত্যাগ দাবি করছি।
রিজভীর নেতৃত্বে মিছিলে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম দলের সভাপতি শামা ওবায়েদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাইফুল ইসলাম পটু প্রমুখ অংশ নেন।