সমন্বিত কর্ম পরিকল্পনা তৈরি ই-কর্মাস খাত আরো গতিশীল করার আহ্বান জানিয়ে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে ই-কমার্সই হবে অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। আগামী ৫ বছরে এখাতে ৫ লাখের বেশি কর্মসংস্থান হবে বলেও জানান আইসিটি প্রতিমন্ত্রী।
রোববার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর পূর্বাচল ক্লাবে ই-কমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ইক্যাবের ৬ষ্ঠ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে করোনাকালীন সেবায় নিবেদিত ব্যক্তি ও ১০০টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের মাঝে সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, করোনা মহামারীর এই দু:সময়ে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হার ৫ দশমিক ২ ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে সরকার। ই-কমার্স খাতে উদ্যোক্তাদের ভ্যান্সার ক্যাপিটাল হিসেবে ১০ লক্ষ থেকে ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।
দেশে বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১১ কোটি ছাড়িয়েছে উল্লেখ করে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, এই সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে করোনাকালীন ১৬ হাজার কোটি টাকা অনলাইনে লেনদেন করা সম্ভব হয়েছে।
তিনি বলেন, ইন্টারনেটের প্রসারের ফলে শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত পৌঁছে গেছে ই-কমার্স। করোনাকালীন দেশের ১৭ কোটি মানুষকে ঔষধসহ নিত্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্য পৌঁছে দিয়েছে বলেই সচল রয়েছে দেশের অর্থনীতির চাকা।
ই-ক্যাবের সভাপতি শমী কায়সারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল এবং বাণিজ্য সচিব জাফর উদ্দীন বক্তব্য রাখেন।
পরে ডিজিটাল মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জন্য সহশিক্ষা কার্যক্রম ও ঘরে বসে প্রতিভা বিকাশের সুযোগ করে দিতে ‘‘ই-জিনিয়াস’’এর প্ল্যাটফর্মের উদ্বোধন করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।