মুন্সীগঞ্জের সদর উপজেলার মোল্লাকান্দিতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী হামলায় ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) ভোরে মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের নোয়াদ্দা ও ঢালীকান্দি এলাকায় এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলায় নোয়াদ্দা এলাকার- নুরউদ্দীন (৫৫), সোলেমান (৪০), আকরাম (৩৭), আবু সায়েদ (৫০), রহমত উল্লাহ (১৭), আবুল কালাম (৩৫), মো. সুজন (৩৫), গৃহবধূ তাসলিমা (৫০), শাহনাজ (৩০), কলেজছাত্র মো. সাকিলসহ (১৯) অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ আকরাম ও নূর উদ্দীনকে গুরুতর অবস্থায় মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, সম্প্রতি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য স্বপণ দেওয়ান ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মেজবাউদ্দিন ঢালীর মধ্যে বিরোধের জেরে হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে আসছিল।
এরই জেরে মঙ্গলবার ভোরে স্বপণ দেওয়ানের নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক সন্ত্রাসী বাহিনী নোয়াদ্দা ও ঢালীকান্দি এলাকায় হামলা চালায়। এ সময় মেজবাউদ্দিন ঢালীকে না পেয়ে এলাকার নিরীহ মানুষরে ওপর হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা।
স্থানীয়রা জানায়, ভোরের সূর্য ওঠার আগেই সন্ত্রাসী বাহিনীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় সন্ত্রাসীরা গবাদি পশুর ওপরও হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।
তারা বলেন, গত কয়েকদিন ধরেই সন্ত্রাসী বাহিনীদের হামলায় এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এলাকাবাসী এসব সন্ত্রাসী হামলা থেকে দ্রুত রক্ষা পেতে চান।
এ ব্যাপারে মেজবাউদ্দিন ঢালী জানায়, সকালে আমার এলাকায় নিরীহ মানুষদের ওপর আচমকা হামলা চালায় এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী স্বপণ বাহিনী।
এ দিকে স্বপণ দেওয়ান জানান, ভোরে বাজারে আসলে তার ওপর হামলা চালানো হয়, পরে স্বপন দেওয়ানের লোকেরা পাল্টা হামলা চালায়।
হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা ইউসুফ হাসান জানান, হামলার ঘটনা শুনেছি তবে, আমি এর সঙ্গে জড়িত নই।
মুন্সীগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ সময় অভিযুক্তদের গ্রেফতারে চিরুনি অভিযান চালানো হচ্ছে বলেও জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।