২০০৭ সালের আজকের এই দিনে কারা বন্দি হয়েছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
সেদিন আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন ও সহযোগী সংগঠনের পাশাপাশি শেখ হাসিনার মুক্তির দাবিতে জোরালে আন্দোলনে নেমেছিল তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।
সেই তৃণমূলদের একজন সাবেক সংসদ সদস্য ও প্রধানমন্ত্রী ভ্যানগার্ড সাবিনা আক্তার তুহিন।
শেখ হাসিনা কারাবন্দি থাকা কালীন সময়ে তার একক নেতৃত্বে নানা কর্মকন্ড করেছেন এই নারী নেতৃ। অনেক প্রতিবন্ধকতা এবং পুলিশি হামলার স্বীকার হলেও তিনি দমে যাননি। বরং তার আন্দোলয় হয়ে উঠেছিল আরো বেগবান।
ঘটনার এক যুগে পরে সেই দিনগুলোর আংশিক স্মৃতি চারণ করছেন আওয়ামী লীগের এই সাহসী নেতৃ। নিজের ফেসবুক আইডিতে বার্তার মাধ্যমে শেখ হাসিনার প্রতি তার ভালবাসার এক বহিঃপ্রকাশ লক্ষ্য করা গেছে। তিনি লিখেছেন, ‘আজকে অনেকে বড় বড় কথা বলে, সেদিন আমরা তৃনমূলই মাঠে ছিলাম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য জীবন দিতে সেদিনও প্রস্তুত ছিলাম আজও আছি।‘
২০০৭ সালের স্মৃতিচারণ করে তুহিন লিখেন, ‘১৬ জুলাই ২০০৭ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কে গ্রেফতার করা হয়,আজ কারা দিবস। সেদিন ফোন পেয়েছিলাম নেত্রী কে ধরে কোর্টে নিয়ে গেছে। আমি অনেককে ফোন দিলাম সারা পেলাম কম, আমি অল্প কিছু মেয়েদের নিয়ে রওনা দিলাম। কিন্তু মিরপুর থেকে অনেক দূর তাই দক্ষিনের লাভলী, নিলু, চায়না, রাশিদা, পারভীন সহ কয়েকজনকে বললাম, আমি মিরপুরের মেয়েদের নিয়ে বেঁড়ীবাঁধ দিয়ে রওনা দিলাম। কিছুটা দূরে তাও বেশ দূর জ্যামে পরলাম। কিন্তু বসে থাকলাম না। গাড়ী থেকে নেমে দৌড় দিলাম।‘
‘আর কান্না যেন বুক ফেটে আসছিল। আমি পৌঁছে মিছিল শুরু করি নেত্রীর মুক্তির জন্য। নেত্রী কে নিয়ে গেলে গাড়ী আটকিয়ে দেই, পুলিশের প্রচন্ড লাঠি পেটানো শুরু হয়। ‘
‘মিছিল থেকে লাভলী সহ কয়েকজন মহিলা কে গ্রেফতার করা হয়। আমি সেদিন বুঝেছিলাম আমাকে গ্রেফতার হলে চলবে না, নেত্রীর মুক্তির জন্য আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। আমি গাড়ী থেকে পুলিশকে আঘাত করে লাফ দিয়ে নেমে পড়ি, রক্তাক্ত আমি পাঁ দিয়ে রক্ত ঝরছিল। আমি গলিতে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে যাই। আমাকে পরে হাসপাতালে লোকজন নিয়ে যায়।‘
তার আয়োজিত সমাবেশ এক বড় জনসভায় রূপ পেয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নেত্রীর মুক্তির জন্য ১৫ আগষ্ট উপলক্ষ্যে মিরপুর থানা ও শাহ্আলী থানা যুবমহিলালীগের উদ্দোগে আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জিল্লুর রহমান (প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ) কে প্রধান অতিথি করে আমার সভাপতিত্বে সমাবেশ করি। আমাদের সে সভা জনসভায় রুপ দিয়েছিলাম এবং মুহুমুহু স্লোগান উঠেছিল নেত্রীর মুক্তির জন্য। খোলা মাঠে ঐ জনসভা প্রথম জনসভা হাজার হাজার আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতা কর্মী উপস্থিত ছিল।‘
‘সেদিনের সে জনসভা আন্দোলন বেগবান করেছিল, বিভিন্ন জেলার নেতাদের সাথে যোগাযোগ করেছিলাম। মহানগরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মরহুম আজিজ ভাই এবং বর্তমান বিজ্ঞান মন্ত্রী আমরা সাবজেলে প্রতিনিয়ত আলোচনা করে লোকসমাগম করি।‘
‘কয়েকদিন পর অনেকে যোগদান করেন। আমরা যখন প্রথম আন্দোলন করি তখন হাতে গোনা কিছু লোক ছিলো এ আন্দোলনে কোর্ট থেকে সাবজেল অবধি।‘