চোখের চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লন্ডনে গেছেন। এখন তিনি লন্ডনে অবস্থান করছেন।
শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে বাংলাদেশ যেন এক অসহায় বিমর্ষ এবং উদ্বিগ্ন রাষ্ট্র। বাংলাদেশ যেন আতংকপুরী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাছে থাকলে এরকম পরিস্থিতিতেও মানুষ স্বান্তনা পেত, অভয় পেত এবং আশায় বুক বাধতো।
কিন্তু শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতেই বাংলাদেশ ছোটখাটো ব্যাপারে উদ্বিগ্ন, উৎকন্ঠিত এবং রীতিমতো অসহায়।
দেশের বিভিন্ন পরিস্থিতি নিয়ে জনমনে উৎকন্ঠা বাড়ছে। সরকারের মধ্যেই অস্বস্তি বাড়ছে। সবচেয়ে বড় উৎকন্ঠা তৈরী হয়েছে শহরাঞ্চলে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে।
বলা হচ্ছে যে, গত ১৮ বছরের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে ডেঙ্গু। প্রতিদিন হাসপাতালে নতুন নতুন রোগী ভর্তি হচ্ছে।
হাসপাতালগুলোতে তিল ধরানোর ঠাঁই নেই। ডেঙ্গুর মূল চারণভূমি হয়েছে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন এবং দুই মেয়র ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় যত না কথা বলছেন, বাস্তবে কাজ করছেন তার চেয়ে অনেক কম।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরই দুই মেয়রকে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন, কথা কম বলে কাজ করার। তিনি দুই মেয়রকে সমন্বিতভাবে কাজ করার উপদেশ দিয়েছেন।
কিন্তু এই ডেঙ্গু পরিস্থিতিতে অসহায় নগরবাসী। বারবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেই স্বরণ করছেন। তারা মনে করছেন, যদি শেখ হাসিনা দেশে থাকতেন তাহলে এই পরিস্থিতি এরকম ভয়াবহ হত না।
প্রধানমন্ত্রী যে দিকনির্দেশনা বা পরামর্শ দিতেন সেগুলোর আলোকে হয়তো পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হতো। সেরকমভাবে অস্বস্তি বোধ করছেন, উৎকণ্ঠিত জনগণ।
ছেলেধরা আতঙ্ক, নানারকম গুজব ছড়িয়ে দেশে একটি অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরির পায়তারা করছে একটি মহল।
এটি মোকাবিলা করতে গিয়ে সরকারের বিভিন্ন মহল থেকে বিভিন্ন বিবৃতি দেয়া হচ্ছে কিন্তু বাংলাদেশের এখন এমন একটি পরিস্থিতি যে শেখ হাসিনার বক্তব্য বা শেখ হাসিনার অভয় বাণী ছাড়া কারও কথাতেই কেউ আস্থা রাখতে পারেন না।
আস্থাহীনতার এই চিত্রই প্রতীয়মান হচ্ছে গুজব আতঙ্ক ছড়িয়ে পরার মধ্যদিয়ে। যারা এটি করছে তাঁরাও এই সময়টি বেছে নিয়েছেন যখন শেখ হাসিনা চিকিৎসার জন্য বাইরে রয়েছেন।
সাধারণ মানুষ মনে করছে, শেখ হাসিনা যদি এখানে থেকে নির্দেশনা দিতেন তাহলে পরিস্থিতি দ্রুত অন্যরকম হয়ে যেত।
তেমনিভাবেও বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চ প্রশাসন বা মাঠ প্রশাসন এমন দায়সারা গোছের দায়িত্ব পালন করতে পারত না।
তাঁরা জানতেন যে কিছুর অবহেলা হলেই শেখ হাসিনার নজরে আসত এবং শেখ হাসিনা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতেন।
শেখ হাসিনার অনুপস্থিতির কারণে ত্রাণ কার্যক্রম যেমন ঢিলেঢালা তেমনি দায়িত্বশীলদের দায়িত্ব পালনের চিত্রও দৃশ্যমাণ নয়।
এই কয়েকদিনের অনুপস্থিতিতে একটা জিনিস প্রতীয়মান হয়েছে বাংলাদেশের যে উন্নয়ন অগ্রগতি হয়েছে তা শেখ হাসিনার কারণেই এবং শেখ হাসিনা ছাড়া আমাদের আস্থার জায়গাটা খুবই কম।
শেখ হাসিনা ছাড়া কতটা অসহায় বাংলাদেশ তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে জনগন। এই বাস্তবতাই বাংলাদেশের রাজনীতি এবং সরকার পরিচালনার মূল চিত্র এখন।
তাই নির্দিধায় বলা যায়, শেখ হাসিনার বিকল্প কিছুই নেই বাংলাদেশের রাজনীতিতে, এগিয়ে যাবার পথে।