করোনা ভাইরাসের প্রভাবে এক মাস ধরে উত্তরবঙ্গের অন্যতম বাঘাবাড়ী নৌবন্দরে আসছে না কোনো পণ্যবাহী জাহাজ। এতে সহস্রাধিক শ্রমিক বেকার হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
অন্যদিকে সার-বীজবাহী জাহাজ না আসায় উত্তরবঙ্গে সার সংকটের শঙ্কা রয়েছে। আর সময়মতো সার না পেলে ধান উৎপাদনেও নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।
জানা গেছে, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর বাঘাবাড়ী নৌবন্দরে কার্যত অচলাবস্থা বিরাজ করছে । নেই জাহাজের হুইশেলের শব্দ ও শ্রমিকদের কর্মব্যস্ততা ।
বন্দরে ভিড়ছে না সার, বীজ ও সিমেন্টেসহ অন্যান্য পণ্যবাহী কোনো জাহাজ। শুনশান নীরবতা বিরাজ করছে পুরো বন্দর এলাকায়।
আর এই বন্দরে প্রতিদিন লোড-আনলোড করে যেসব শ্রমিক জীবিকা করতেন, তারা এখন বেকার। কর্মহীন এসব শ্রমিক মানবেতর জীবনযাপন করলেও এখনো ভাগ্যে জোটেনি সরকারি কোনো সহায়তা।
শ্রমিকরা বলছেন, আয়-রোজগার বন্ধ হওয়ায় অর্ধাহারে-অনাহারে চলছে তাদের জীবন। এ অবস্থায় সরকারি সহায়তার দাবি শ্রমিকদের। অন্যদিকে কৃষিপণ্য বহনে সার-বীজবাহী জাহাজ চলাচল সচল রাখতে সরকারি নির্দেশ রয়েছে।
এর পরও বন্দরে আসছে না জাহাজ। এ অবস্থায় বন্দরে ও ডিলারদের কাছে মজুদ থাকা সার ইতোমধ্যে শেষ পর্যায়। দ্রুত বন্দরটি চালু না হলে সারসহ কৃষিপণ্য সংকটে নাভী জাতের বোরো ধানসহ অন্যান্য আবাদে ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
এ বিষয়ে শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মো. শামসুজ্জোহা জানান, নৌবন্দর বন্ধ রাখার কোনো সুযোগ নেই। জাহাজ আসছে, তবে সংখ্যায় কম। বন্দরটি পুরোদমে চালু করতে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় সংসদ সদস্য হাসিবুর রহমান স্বপন জানান, বেকার শ্রমিকদের সহযোগিতা ও বন্দরটি চালু রাখার জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়ার জন্য আলোচনা চলছে।
খুব শিগগিরই এর সমাধান হবে। তিনি আরও জানান, উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে বেকার শ্রমিকদের খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে।