নুর হোসেনকে ইয়াবাখোর বললেন জাপা মহাসচিব

ডেস্ক রিপোর্টার, প্রকাশ: ২০১৯-১১-১০ ১৭:২৪:৫৯

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের এমপি বলেছেন, ‘নুর হোসেনের বিচার আমরা চাই। সুষ্ঠু তদন্ত চাই। মিলন হত্যার বিচার চাই, সুষ্ঠু তদন্ত চাই। যাতে মানুষ সঠিক ঘটনা জানতে পারে।’

রোববার (১০ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় পার্টির বনানী কার্যালয়ে আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। ১৯৮৬ সালের পর থেকে দিবসটিকে গণতন্ত্র দিবস হিসেবে পালন করে আসছে জাতীয় পার্টি।

জিএম কাদের বলেন, ‘এরশাদ সাহেব ১৯৮৬ সালে এই দিনে ঘোষণা দিয়েছিলেন দেশে আর কোনো দিন সামরিক শাসন আসবে না। আর কিন্তু কখনই কাঠামোগতভাবে সামরিক শাসন আসেনি। যেদিন সঠিকভাবে ইতিহাস রচিত হবে, সেদিন দেশের মানুষ এই দিনটিকে গণতন্ত্র দিবস হিসেবে পালন করবে।’

জিএম কাদের আরো বলেন, ‘দেশে এখন দুষ্টের পালন ও শিষ্টের নানাভাবে হয়রান করা হচ্ছে। নব্বই পর থেকে যে সমাজ ব্যবস্থা, সেটাকে ন্যায় বিচার ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা বলে না। দুর্নীতি দিন দিন বেড়েই চলছে। খুন ধর্ষণ বেড়েই চলছে এটা ন্যায় বিচার ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থার সাক্ষ্য বহন করে না। ঘুষ ছাড়া কাজ হয় না, সাধারণ মানুষ হয়রানি হচ্ছে, সুশাসন নেই। সুশাসনের কোনো স্কেলেই নেই।’

জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘এরশাদের জীবন ব্যবস্থা ছিল গণতন্ত্রের জন্য উৎসর্গ। উনি গণতন্ত্রের স্বার্থে বাধ্য হয়ে ক্ষমতা গ্রহণ করেছিলেন। আবার যখন প্রয়োজন হয়েছে গণতন্ত্রের স্বার্থে ওনি ক্ষমতা ছেড়ে দিয়েছেন।’

এসময় জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, ‘গণতন্ত্র আজ নির্বাসনে সুন্দরবনে, যদি বিশ্বজিৎ ও আবরারকে হত্যা করা না হতো তাহলে বলতাম গণতন্ত্র রয়েছে। শিক্ষককে পানিতে ফেলে দেয়া হচ্ছে। জাবি ভিসির পদত্যাগের জন্য আন্দোলন করছে ছাত্ররা।’

রাঙ্গা আরো বলেন, ‘ইয়াবাখোর ফেনসিডিল খোর ছিলেন নুর হোসেন। তাকে নিয়ে নাচানাচি করছে আওয়ামী লীগ বিএনপি। তাদের কাছে ইয়াবা-ফেনসিডিল খোর ও ক্যাসিনো ব্যবসায়ীদের গুরুত্ব বেশি। এরশাদ সাহেবের কাছে এরা কোনো গুরুত্ব পাননি। যারা গণতন্ত্রের গ ও বুঝে না, অ্যাডিক্টেড একটি ছেলে নুর হোসেন। পুলিশ গুলি করলো সামনে থেকে আর ঘুরে গিয়ে পেছন থেকে লাগল। কি হাস্যকর যুক্তি। তখনতো একজন মারা গেছে, এখন প্রতিদিনই মানুষ মরছে।’

মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, ‘স্বৈরাচার এরশাদ না, খালেদা জিয়া স্বৈরাচার। খালেদা স্বৈরাচার হলে শেখ হাসিনাও স্বৈরাচার। একুশ বছর পর এরশাদের অনুগ্রহে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। আর সেই আওয়ামী লীগ তার বিরুদ্ধে মামলা দেয়। নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করে। আওয়ামী লীগ বিএনপি গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। ওদের মুখে গণতন্ত্র মানায় না। এই গণতন্ত্র মুখে দেয় নাকি মাথায় দেয়। আগে গণতন্ত্র বুঝতে হবে।’