চাকুরি নামে শতকোটি টাকার প্রতারণা

ডেস্ক রিপোর্টার, প্রকাশ: ২০২০-০৯-২১ ১৫:৪২:০৭

পেয়েছিলেন শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চাকরির নিয়োগপত্র আর আইডি কার্ড। কয়েকদিনের মধ্যে কাজে যোগ দেয়ার কথাও ছিলো। অবশ্য সব কিছুই ছিলো প্রতারণা। আর এভাবেই শত শত অসহায় মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে প্রায় শত কোটি টাকা।

বুঝে ওঠার আগেই, প্রায় আড়াইশ মানুষের কাছ থেকে শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে লাপাত্তা জালিয়াত প্রতিষ্ঠান ফ্ল্যাশলাইট এন্টারপ্রাইজ। সিভিল এভিয়েশন বলছে, চক্রটিকে ধরতে কাজ করছে গোয়েন্দা সংস্থা।

আর এমন প্রতারণা ও জালিয়াতিতে রিজেন্টের শাহেদ ও জেকেজির আরিফ সাবরিনাকেও ছাড়িয়ে গেল ফ্লাশলাইট এন্টারপ্রাইজের শামীম, সুমন ও পলাশ চক্র।
জানা গেছে, রাজধানীর মিরপুর ডিওএইচএস এর ১২ নম্বর সড়কের ৮৪৮ নম্বর বাসার দ্বিতীয় তলায় ফ্লাশলাইট এন্টারপ্রাইজ নামে ভুয়া কোম্পানি খুলে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ৩ নম্বর টার্মিনালে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রায় ২৫০ জন মানুষের কাছ থেকে প্রায় শতকোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে শামীম, সুমন ও পলাশ গং। শামীম-সুমনের প্রধান সহযোগী গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের তারিকুল ইসলাম পলাশ মুন্সী।

চাকুরী প্রার্থীদের দেওয়া হয়েছিল ভুয়া নিয়োগপত্র ও আইডি কার্ড। ভূক্তভোগীরা এখন ভিড় করছেন তালাবদ্ধ অফিসের সামনে। সব হারিয়ে বিলাপ করছেন এসব অসহায় মানুষ।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান বলেন, এই চক্রটির সাথে আরও কারা কারা জড়িত সবাইকে ধরতে কাজ করছে গোয়েন্দা সংস্থা।

এ সময় শামীম, সুমন ও পলাশ চক্র গণমাধ্যমকর্মীদের অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন এবং সংবাদটি প্রকাশ না করতে অনুরোধ করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভুয়া কোম্পানি ফ্লাশলাইট এন্টারপ্রাইজের এমডি শামীম পরিবার নিয়ে থাকেন রাজধানীর মিরপুরের ইস্টার্ন হাউজিং এলাকায়। আর প্রতারক শামীমের এসব প্রতারণার কাজে সহায়তা করেন তারিকুল ইসলাম পলাশ মুন্সীসহ একটি শক্তিশালী প্রতারক চক্র। আর এই চক্রটির সবাই ইস্টার্ন হাউজিং এলাকায়ই থাকেন।

কথিত ফ্লাশলাইট কোম্পানির এমডি শামীমকে পাওয়া না গেলেও তার স্ত্রীকে পাওয়া গেলেও তিনি কথা না বলে দ্রুত সটকে পড়েন।

তবে মোবাইল ফোনে তারিকুল ইসলাম পলাশ মুন্সী বলেন, আমি এর সাথে জড়িত নই। আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে।

তথ্য-প্রমাণ আছে- এমন কথা বলা হলে তিনি ব্যক্তিগতভাবে দেখা করতে চান।

ভূক্তভোগীদের দাবি সঠিক তদন্ত করলেই বেড়িয়ে আসবে এই চক্রের প্রতারণার আরও লোমহর্ষক কাহিনী। এজন্য তারা সরকারের সহায়তা চান।