ফুটবলকন্যা আঁখিকে দেয়া সরকারি জায়গা বেদখল!

ডেস্ক রিপোর্টার, প্রকাশ: ২০১৯-০৯-০৮ ০০:১৯:২৩

ফুটবলকন্যা আঁখি খাতুনকে বাড়ি করার জন্য সরকারের বরাদ্দকৃত জায়গা দখল হয়েছে। গত ৪ মে আঁখির জন্মস্থান সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর পৌরসভায় সরকারি কলেজ সংলগ্ন মণিরামপুরে উপজেলা প্রশাসন গোল্ডেন বুটজয়ী আঁখিকে পাঁচ শতক জায়গা বরাদ্দ দেয়।

কিন্তু সেই জায়গাটি দখলে নিয়েছেন শাহজাদপুর বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রবিন আকন্দ।

দীর্ঘদিন তিনি এই খাস জায়গাটি অবৈধভাবে দখলে রেখেছেন। উপজেলা প্রশাসন তার কাছ থেকে দখলমুক্ত করে আঁখিকে বাড়ি করার জন্য বরাদ্দ দেন।

পৌর শহরের গুরুত্বপূর্ণ এই জায়গাটির বাজারমূল্য প্রায় এক কোটি টাকা। পাঁচ শতক জায়গা বরাদ্দের পর সেখানে আঁখির ছবি সংবলিত সাইনবোর্ডও টানিয়ে দেয়া হয়।

কিন্তু ১৫ দিনের মাথায় জায়গাটি ফের দখলে নিয়ে আঁখির ছবি সংবলিত ব্যানার টেনে খুলে ফেলেন রবিন আকন্দ। শুধু তাই নয়, পুরো জায়গা ঘেরাও করে দেয়াল তুলে দিয়েছেন তিনি।

এ ব্যাপারে শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হুসেইন খান নয়া দিগন্তকে বলেন, এসএ আরএস সব কাগজে জায়গাটি সরকারি খাসজমি। বণিক সমিতির সেক্রেটারি রবিন সাহেব দীর্ঘদিন এটি দখলে রেখেছিলেন।

আমরা (উপজেলা প্রশাসন) সেটা দখলমুক্ত করে ফুটবলার আঁখিকে বরাদ্দ দেই। কিন্তু বণিক সমিতির সেক্রেটারি রবিন মামলা করে দিলেন।

কোর্ট আমাদের বিরুদ্ধে ইনজেকশন দিলেন। এরপর আমরা এর বিরুদ্ধে আপিল করেছি। বর্তমানে এটি সিরাজগঞ্জ জেলা জজ আদালতে বিচারাধীন আছে। আগামী ৬ অক্টোবর এ ব্যাপারে শুনানি আছে।

এক প্রশ্নের জবাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, আঁখির ছবিসহ টানানো সাইনবোর্ড খুলে ফেলে বেড়া দিয়ে দিয়েছেন বণিক সমিতির সেক্রেটারি।

যেহেতু জায়গাটি নিয়ে ঝামেলা চলছে, মামলাজনিত কারণে দীর্ঘসূত্রতা হতে পারে। তাই আঁখিকে নতুন কোনো জায়গা বরাদ্দ দেয়া হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ৬ অক্টোবর যেহেতু শুনানি আছে। দেখা যাক কী হয়।

২০১৪ সালে বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবলে শাহজাদপুর ইব্রাহিম বালিকা বিদ্যালয়ের হয়ে খেলে উঠে আসে আঁখি খাতুন।

২০১৫ সালে তাজিকিস্থানে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৪ আঞ্চলিক ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম খেলে আঁখি। ২০১৭ সালে সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতকে ১-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। এ টুর্নামেন্টে সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়ে আঁখি খাতুন গোল্ডেন বুট পান।

আঁখি খাতুন বাংলাদেশ নারী জাতীয় ফুটবল দলের নির্ভরযোগ্য একজন খেলোয়াড়। বিকেএসপিতে ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী। বয়স কম হওয়ায় জাতীয় দলের পাশাপাশি বয়সভিত্তিক দলেও খেলছেন।