বিআইডাব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যানের বাঘাবাড়ি নৌবন্দর পরির্দশন

ডেস্ক রিপোর্টার, প্রকাশ: ২০২০-১১-২৩ ১৩:২৪:০৩

যমুনা নদীতে পানির নব্যতা সংকটের কারণে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার বাঘাবাড়ি নৌবন্দরগামী পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল ব্যহত হচ্ছে। ফলে পাবনা,সিরাজগঞ্জ ও শাহজাদপুর সহ উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলার ১৪টি বাফার গুদামে রাসায়নিক ইউরিয়া সার ও জ্বালানী তেল সরবরাহ ব্যবহ হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।

এর পরিপেক্ষিতে বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান নৌবাহিনীর কমডোর গোলাম সাদেক রবিবার দুপুরে বাঘাবাড়ি নৌবন্দর ও বাঘাবাড়ি হতে আরিচা পর্যন্ত যমুনা নদীর নৌ চ্যানেল পরিদর্শন করে দ্রুত ড্রেজিংয়ের নির্দেশ দিয়েছেন।

তিনি সকাল ১১ টার দিকে বাঘাবাড়ি নৌবন্দরে আসেন। এরপর সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে নৌবন্দর লেবার এজেন্ট, বিআইডব্লিউটিএর উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও নৌযান শ্রমিকদের সাথে আলোচনা করেন এবং এরুটের নানা সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন।

পরে নৌবন্দর পরিদর্শন করে এ নৌরুটে পানির নব্যতা সংকট স্থান গুলোতে দ্রুত ড্রেজিং ও বাঘাবাড়ি নৌবন্দরের সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দেন। তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেন,বাঘাবাড়ি নৌবন্দরের উন্নয়নে সকল ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া অচিরেই বাঘাবাড়ি নৌবন্দরকে প্রথম শ্রেণীর নৌবন্দরে উন্নিত করার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। এ জন্য খুব অল্প সময়ের মধ্যে এর জরিপ কাজও শুরু করা হবে।

তিনি আরো বলেন বাঘাবাড়ি নৌবন্দর সচল রাখতে সব ধরণের পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তিনি এ সময় বাঘাবাড়ি নৌবন্দর লেবার এজেন্টকে ইজারা সংক্রান্ত মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়ার আহব্বান জানান। এ মামলাটির কারণে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে বলেও তিনি জানান।

এ দিকে বাঘাবাড়ি নৌবন্দর লেবার এজেন্ট আব্দুল মজিদ বলেন, চট্টগ্রাম-বাঘাবাড়ি নৌরুটের যমুনা নদীতে খুব ধীরগতিতে ড্রেজিং চলছে। দ্রুত ড্রেজিং করা না হলে নব্য সংকটে পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল আরো ব্যহত হবে। এখনই আরিচা, নাকালিয়া, পেচাকোলা, মোল্লারচর, বাহাদুরপুর, মাওয়া,ধুলঝুল এলাকায় চাহিদার তুলনায় পানি কম ফলে পূর্ণ লোডে জাহাজ চলাচল করতে পারছেনা। লাইটারেজের মাধ্যমে পণ্য খালাস করতে খরচ বেশি হচ্ছে। এতে সরকার ও লোবার এজেন্টদের চরম আর্থিক লোকশান হচ্ছে। এ ছাড়া উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলার ১৪টি বাফার গুদামে সার মজুদের কাজ ব্যহত হচ্ছে। সময় মত মজুদ করা না গেলে আসন্ন সেচ মৌসুমে ইরি-বোরো আবাদ ব্যহত হওয়ার আশংকা রয়েছে।

এ বিষয়ে বাঘাবাড়িগামী জাহাজের ড্রাইভার জাকির হোসেন ও কামাল পাশা বলেন,এ সব স্থানে জাহাজ নোঙ্গর করে লাইটারেজের মাধ্যমে অর্ধেক পণ্য আনলোড করে তারপরে জাহাজ বাঘাবাড়ি নেওয়া হচ্ছে। এতে সময় ও খরচ বেশি হচ্ছে।

বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহাব মিয়া বলেন,নব্য সংকটের কারণে সঠিক স্থানে বয়া,মার্কা না দেওয়ায় পণ্যবাহী জাহাজ আরিচা ও দৌলদিয়া এলাকায় নোঙ্গর করে রাখতে হচ্ছে। এতে উত্তরাঞ্চলে সার সরবরাহ ব্যহত হচ্ছে।

এ বিষয়ে বাঘাবাড়ি বিআইডব্লিউটিএর উপ-সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন বলেন,নব্য সংকট স্থানে ড্রেজিং চলছে। আশাকরি ২/৩দিনের মধ্যে এ সমস্য ঠিক হয়ে যাবে।