সরকারী উন্নয়নে অগ্রনী ভুমিকা রেখে যাচ্ছে টেকনাফ স্থলবন্দর

ডেস্ক রিপোর্টার, প্রকাশ: ২০১৯-০৭-০৭ ২২:৩৫:২৯

দীর্ঘ ববছরের পর বছর ধরে সরকারী উন্নয়নে অগ্রনী ভুমিকা পালন করে যাচ্ছে টেকনাফ স্থলবন্দর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। অনুসন্ধানে দেখা যায়, টেকনাফ স্থলবন্দর থেকে প্রতি বছর সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করতে সক্ষম হচ্ছে।

সেই ধারাবাহিকতায় গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এই বন্দর থেকে সরকার ১৭৯ কোটি, ৫৬ লক্ষ, ৯১হাজার টাকা রাজস্ব আদায় করা হয়েছে। সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর্তৃক ১৪৭ কোটি ৯৪ লাখ টাকা রাজস্ব আয়ের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হলেও অতিরিক্ত ৩১কোটি, ৬২লক্ষ, ৯১ হাজার টাকা রাজস্ব আদায় করা হয়েছে।

সত্যতা নিশ্চিত করে স্থলবন্দরের শুল্ক কর্মকর্তা মো. ময়েজ উদ্দীন জানান, গেল অর্থ বছরের ২/১ মাস ব্যতিত অধিকাংশ সময় টেকনাফ স্থল বন্দরে ভালো ব্যবসায়ীক পরিবেশ বিদ্যমান ছিল। ব্যবসায়ীরা পর্যাপ্ত পরিমান পন্য আমদানী করেছেন।

পাশাপাশি ব্যবসায়ী ও বন্দর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্মচারীদের আন্তরিক প্রচেষ্টার কারনে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে সক্ষম হয়েছি।

এদিকে গত জুন মাসে ৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়। অথচ বন্দর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সহযোগীতায় জুন মাসে রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রা ক্রস করে ১১কোটি, ৩৮লক্ষ, ৫২ হাজার টাকা রাজস্ব আদায় করা হয়েছে। এতে গত জুন মাসে লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে অতিরিক্ত ২কোটি, ৯৮ লক্ষ, ৫২ হাজার টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে।

এই রাজস্ব গুলো আদায় করতে টেকনাফ স্থলবন্দর ব্যবসায়ীরা ২০২টি বিল অব এন্ট্রির মাধ্যমে ৩৪ কোটি,৭৪ লক্ষ,১৪ হাজার টাকার বিভিন্ন প্রকারের পন্য মিয়ানমার থেকে আমদানী করেছে। অপরদিকে ৪১টি বিল অব এক্সপোর্টের বিপরীতে ১কোটি, ২৫ লক্ষ, ৫৪ হাজার টাকার দেশীয় পন্য মিয়ানমারে রপ্তানী করেছে তারা।
এছাড়া গত এক মাসে শাহপরদ্বীপ করিডোরে মিয়ানমার থেকে ৬ হাজার,৬২০টি গরু,৩ হাজার,৫৫৭টি মহিষ আমদানি করা হয়েছে। এতে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৫০ লক্ষ,৮৮ হাজার ৫০০ টাকা।

উল্লেখ্যঃ-টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে মিয়ানমার হতে বিভিন্ন প্রকার কাঠ,কাঁচামাছ,শুটকি,আচার, মসলা,গবাদি পশু সহ হরেক রকমের পণ্য আমদানী করে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। অপরদিকে গার্মেন্টস পণ্য,বিভিন্ন প্রকার প্লাস্টিক সামগ্রী,ঔষধ,দেশীয় তৈরী সিমেন্ট মিয়ানমারে রপ্তানী করা হয়।